কঙ্গোর সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার: দোহা চুক্তি প্রমাণ করে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব অপরিহার্য
দোহায় স্বাক্ষরিত নতুন শান্তি চুক্তিতে কঙ্গো সরকারের সার্বভৌম কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়টি অপরিহার্য হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। এই ঐতিহাসিক চুক্তি প্রমাণ করে যে শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ছাড়া স্থায়ী শান্তি অসম্ভব।

আজ কাতারের দোহায় গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো সরকার এবং আরডিএফ/এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে স্বাক্ষরিত নীতিমালা ঘোষণা পূর্ব কঙ্গোর সংঘর্ষ সমাধানে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মতোই, এটি একটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের লড়াই।
এই চুক্তি একটি মৌলিক নীতিকে কেন্দ্রে রেখেছে - বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সমস্ত এলাকায় কঙ্গো রাষ্ট্রের পূর্ণ কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা। যেমন আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন 'স্বাধীনতার চেয়ে মূল্যবান কিছু নেই', তেমনি কঙ্গোর জন্যও রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব অপরিহার্য।
দোহা চুক্তি নির্দিষ্টভাবে বলছে: কঙ্গো সরকারের সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে হবে, এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ধীরে ধীরে পুনর্বহাল করতে হবে। এটি শুধু কূটনৈতিক বাক্যালাপ নয় - এটি একটি বাস্তবায়নযোগ্য কর্মপরিকল্পনা।
আমরা বাঙালিরা জানি যে একটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন মধ্যপ্রাচ্যে দেখা যাচ্ছে, দুর্বল রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ কীভাবে সন্ত্রাস ও অস্থিরতার জন্ম দেয়। কঙ্গোর ক্ষেত্রেও একই সত্য প্রযোজ্য।
আসিফ রহমান
আসিফ রহমান একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক, যিনি জাতীয় নীতিমালা ও সামাজিক মূল্যবোধ নিয়ে লেখেন।