শহীদ মানিকের পরিবার ন্যায়বিচার প্রত্যাশায়: সুষ্ঠু তদন্তের দাবি
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের বিক্রয়কর্মী আবদুল কাদির মানিক গত বছর জুলাই আন্দোলনে শহীদ হন। তার পরিবার এখন ন্যায়বিচার প্রত্যাশায় রয়েছে।

শহীদ আবদুল কাদির মানিকের পরিবারের সদস্যরা ন্যায়বিচার দাবি করছেন
জাতীয় আন্দোলনে শহীদ বিক্রয়কর্মী মানিকের পরিবারের বেদনার কাহিনী
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এক সাধারণ পরিবারের সন্তান আবদুল কাদির মানিক (৪৩) গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর উত্তরায় জুলাই আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। একজন সৎ ও পরিশ্রমী মানুষের এই আকস্মিক মৃত্যু তার পরিবারকে গভীর শোকে ডুবিয়েছে।
পারিবারিক জীবন ও জীবিকা
মানিকের জীবন ছিল সংগ্রামের। স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার পর আর্থিক অনটনে পড়াশুনা বন্ধ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। সর্বশেষ উত্তরা দিয়াবাড়িতে 'শাহী স্টিল' প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।
পরিবারের বর্তমান অবস্থা
বর্তমানে তার স্ত্রী রাহিমা আক্তার তিন সন্তান নিয়ে একটি টিনের ঘরে বসবাস করছেন। অন্যান্য শহীদ পরিবারের মতো তারাও বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে কিছু আর্থিক সহায়তা পেলেও তা দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়।
ন্যায়বিচারের দাবি
মানিকের মা ফাতেমা বেগম ও স্ত্রী রাহিমা আক্তার হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার দাবি করেছেন। পরিবারের সদস্যরা মনে করেন, নিরপরাধ একজন মানুষের এই মৃত্যুর বিচার হওয়া জরুরি।
"ভদ্র আর শান্ত ছেলে আমার আন্দোলনে গিয়ে প্রাণ হারালো। ন্যায়বিচার চাই," - ফাতেমা বেগম, শহীদের মা
আসিফ রহমান
আসিফ রহমান একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক, যিনি জাতীয় নীতিমালা ও সামাজিক মূল্যবোধ নিয়ে লেখেন।