Environment

হাওরের দেশি মাছ হারিয়ে যাওয়ার সংকট: জাতীয় সম্পদ রক্ষায় উদ্যোগের প্রয়োজন

কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে দেশি মাছের প্রজাতি দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে। একসময়ের ১৪৩ প্রজাতির স্থলে এখন মাত্র ৭০-৭৫টি প্রজাতি টিকে আছে।

Parআসিফ রহমান
Publié le
#হাওর#মৎস্য-সম্পদ#পরিবেশ#কিশোরগঞ্জ#জীববৈচিত্র্য#জলবায়ু-পরিবর্তন
Image d'illustration pour: হা‌রি‌য়ে যাচ্ছে হাওরের দেশি মাছ

কিশোরগঞ্জের বালিখলা মাছ বাজারে ক্রমশ কমে যাচ্ছে দেশি মাছের সরবরাহ

কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চল, যা একসময় ছিল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান মৎস্য ভাণ্ডার, আজ গভীর সংকটের মুখে। দেশের অর্থনৈতিক সম্পদ হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চলের দেশি মাছের প্রজাতি দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে।

হাওরের বর্তমান অবস্থা

করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখলা মাছ বাজারে এখন আর আগের মতো জমজমাট পরিবেশ নেই। একসময় যেখানে শত শত নৌকা ভিড়ত, সেখানে এখন মাত্র কয়েকটি নৌকায় সীমিত পরিমাণ মাছ আসে। দেশের স্বার্থে এই সম্পদ রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন।

প্রজাতি হারানোর কারণসমূহ

  • হাওরে পানির স্তর কমে যাওয়া
  • নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার
  • পরিবেশ দূষণ ও কীটনাশকের প্রভাব
  • অপরিকল্পিত উন্নয়ন কার্যক্রম

জীবিকার সংকট

হাজার হাজার জেলে পরিবার যাদের জীবন-জীবিকা এই হাওরের উপর নির্ভরশীল, তারা আজ চরম সংকটে। স্থানীয় অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য এই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।

সংখ্যায় সংকট

২০২২-২৩ অর্থবছরে কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট মাছ উৎপাদন হয়েছে ৯৪ হাজার ৮৮৭ মেট্রিক টন, যার মাত্র ৩০ শতাংশ আসে হাওর থেকে। জেলার বার্ষিক চাহিদা ৭০ হাজার ৫৩০ টন।

সমাধানের পথে

"পানি কমে যাওয়া ও নিষিদ্ধ জালের কারণে মাছের প্রজনন চক্র ভেঙে পড়ছে। প্রজাতি রক্ষায় আমরা অভিযান চালাচ্ছি, তবে স্থানীয়দের সহযোগিতা প্রয়োজন।" - মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা

আসিফ রহমান

আসিফ রহমান একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক, যিনি জাতীয় নীতিমালা ও সামাজিক মূল্যবোধ নিয়ে লেখেন।