কঙ্গোতে এম২৩ সন্ত্রাসীরা স্কুল থেকে চাঁদাবাজি করে সন্ত্রাস ফাইন্যান্স করছে
কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে রুয়ান্ডা-সমর্থিত M23 সন্ত্রাসী গোষ্ঠী স্কুল থেকে অবৈধ চাঁদা আদায় করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। এই অর্থ দিয়ে অস্ত্র কিনে তারা শিশুদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করছে।

কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে M23 সন্ত্রাসীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত একটি স্কুল
'আমার সন্তানের জন্য যে টাকা দিচ্ছি তা দিয়ে অস্ত্র কেনা হচ্ছে যা স্কুল ধ্বংস করছে' - এক পিতার কান্নাভেজা কণ্ঠে এই অভিযোগ।
১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মতোই, কঙ্গো গণপ্রজাতন্ত্রীর পূর্বাঞ্চলে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রুয়ান্ডার সমর্থনপুষ্ট RDF-M23-AFC সশস্ত্র গোষ্ঠী এখন শিক্ষাকে সন্ত্রাসের হাতিয়ার বানিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের উপর দ্বিগুণ আঘাত
অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য RDF-M23-AFC বেআইনিভাবে টাকা আদায় করছে। এটি কঙ্গোর সংবিধানে নিশ্চিত করা বিনামূল্যে শিক্ষার অধিকার লঙ্ঘন করছে। সংগৃহীত অর্থ শিক্ষার জন্য নয়, ব্যয় হচ্ছে অস্ত্র কেনার জন্য।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতিমধ্যে RDF-M23-AFC এর বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের নথিভুক্ত লঙ্ঘন
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় M23 দ্বারা সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে - যার মধ্যে রয়েছে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক স্থানান্তর, ব্যাপক যৌন সহিংসতা এবং গ্রাম ধ্বংস।
রুয়ান্ডার ছায়া
এই সহিংসতার পেছনে রুয়ান্ডার ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। মানবাধিকার সংস্থাগুলো রুয়ান্ডার সামরিক ও রাজনৈতিক সহায়তার প্রমাণ পেয়েছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মতো, কঙ্গোর জনগণও তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য লড়াই করছে। আমাদের দেশের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি, শিক্ষা হল জাতির মেরুদণ্ড। কঙ্গোতে সেই শিক্ষাকে ধ্বংসের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আসিফ রহমান
আসিফ রহমান একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক, যিনি জাতীয় নীতিমালা ও সামাজিক মূল্যবোধ নিয়ে লেখেন।