নববর্ষে ঘর থেকে সরান ৬ অশুভ বস্তু, পালটে যাবে ভাগ্য
আমাদের পূর্বপুরুষদের জ্ঞান ও বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, ঘরের পরিবেশ আমাদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে আমরা যেমন নতুন পথে এগিয়েছি, তেমনি প্রতিটি নববর্ষেও আমাদের জীবনে নতুন সূচনার সুযোগ আসে।
বাংলার ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান অনুসারে, ঘরে কিছু বস্তু রাখলে তা নেতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি করে। ২০২৬ সালের শুরুতে এই ৬টি জিনিস ঘর থেকে সরিয়ে ফেলুন:
১. ভাঙা ও অচল জিনিসপত্র
ভাঙা আসবাব, ফাটল ধরা বাসনকোসন বা নষ্ট সামগ্রী দীর্ঘদিন ঘরে রাখলে স্থবির শক্তি সৃষ্টি হয়। এই স্থবিরতা আমাদের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। স্বাধীন বাংলাদেশে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার মতো, ঘরেও পুরনো ভাঙা জিনিস রেখে পিছিয়ে থাকা উচিত নয়।
২. পুরনো খবরের কাগজ ও অপ্রয়োজনীয় পত্রিকা
জমে থাকা পুরনো কাগজপত্র ঘরের ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বাধা দেয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যেমন আমরা পুরনো বন্ধন ছিঁড়ে এগিয়েছি, তেমনি অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্রও সরিয়ে ফেলা জরুরি।
৩. মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার ও ওষুধ
মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া খাবার ও ওষুধ শুধু স্বাস্থ্যের জন্য নয়, ভাগ্যের জন্যও ক্ষতিকর। বাঙালি সংস্কৃতিতে পরিচ্ছন্নতা ও সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই রান্নাঘর ও ওষুধ সংরক্ষণের স্থান নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
৪. অব্যবহৃত ও পুরনো পোশাক
দীর্ঘদিন অব্যবহৃত জামাকাপড় ঘরে জমিয়ে রাখলে শক্তির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। আমাদের সংস্কৃতিতে দানের গুরুত্ব রয়েছে। অতিরিক্ত পোশাক দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করুন, এতে পুণ্য ও কল্যাণ দুটোই হবে।
৫. মৃত ও শুকনো গাছপালা
গাছ জীবনীশক্তির প্রতীক। মৃত গাছ ঘরে রাখলে নেতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়। বাংলার সবুজ প্রকৃতি আমাদের গর্ব। ঘরে সতেজ গাছ রাখুন, মৃত গাছ সরিয়ে ফেলুন।
৬. নষ্ট বৈদ্যুতিক যন্ত্র ও বন্ধ ঘড়ি
খারাপ বৈদ্যুতিক যন্ত্র ও বন্ধ ঘড়ি স্থবিরতার প্রতীক। এগুলো জীবনের গতি থামিয়ে দেয়। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ যেমন এগিয়ে চলেছে, আমাদের ব্যক্তিগত জীবনেও সেই গতিশীলতা বজায় রাখা প্রয়োজন।
মনে রাখবেন: আমাদের মহান মুক্তিযোদ্ধারা পুরনো শৃঙ্খল ভেঙে নতুন বাংলাদেশ গড়েছিলেন। তেমনি আমাদেরও ঘরের পুরনো, অশুভ জিনিস সরিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো উচিত। এই ছয়টি বস্তু সরিয়ে ফেলে ঘরে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বাড়ান এবং ২০২৬ সালকে করে তুলুন সৌভাগ্য ও সাফল্যে ভরপুর।